আগামী অর্থবছরের বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল করার দাবি জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় কাজ করা বেসরকারি সংগঠন ‘ভলান্টারি কনজ্যুমারস ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস সোসাইটি (ভোক্তা)’। একই সঙ্গে তারা কালোটাকার মালিক এবং ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ারও দাবি জানিয়েছে। ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আজ বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভোক্তার পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভোক্তার নির্বাহী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান। সংগঠনটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে খলিলুর রহমান বলেন, ‘বাজেটে কালোটাকা সাদা কিংবা পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে অনৈতিক করসুবিধা দেওয়া প্রহসনে পরিণত হয়েছে। আমাদের সংগঠন মনে করে, বারবার এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া অর্থ পাচারকে উৎসাহিত করে। তাই বিধানটি বাতিল করে আসন্ন বাজেটে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর শাস্তির বিধান ও আইন প্রয়োগ করে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে বাধ্য করতে হবে। এ ধরনের কঠোর সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে অর্থ পাচারকে নিরুৎসাহিত করবে।

সংবাদ সম্মেলনে ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্পে কর ফাঁকি রোধে কাঁচামাল ব্যবহার, পণ্য উৎপাদন ও বিক্রিতে সফটওয়্যার ব্যবহার বাধ্যতামূলক এবং কার্যকর নিরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানানো হয়।

বাজেটের পর নিত্যপণ্যের দাম যাতে বৃদ্ধি না পায়, সেদিকে লক্ষ রাখার আহ্বান জানিয়ে খলিলুর রহমান বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে এমনিতেই মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে শুল্ক-কর বৃদ্ধির ফলে যাতে জনদুর্ভোগ না বাড়ে, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। চাল, ডাল, চিনি, ভোজ্যতেল প্রভৃতির আমদানি শুল্ক ও মূসক সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে।

ওষুধ ও চিকিৎসা উপকরণের দাম সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায় সংগঠনটি। খলিলুর রহমান বলেন, বাজেটে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় গঠিত বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রাখতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ভোক্তার চেয়ারম্যান হোসেন উদ্দিন শেখর, ভাইস চেয়ারম্যান সানোয়ার হোসেন নওরোজ, পরিচালক লুৎফর রহমান, লতিফুল বারী, মহসীনুল করিম, সাইদুল আবেদীন, মিজানুর রহমান তালুকদার, নুরুন নবী, গোলাম কবীর ও ফজলুল হক।