আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল করে কালো টাকার মালিকদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ‘ভলান্টারি কনজুমারস ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস সোসাইটি (ভোক্তা)’ নামের একটি বেসরকারি সংগঠন। একই সঙ্গে ঋণ খেলাপিদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানায় সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানায় সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সজল।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর, ভাইস চেয়ারম্যান সানোয়ার হোসেন নওরোজ, পরিচালক লুৎফর রহমান লিটন, ড. লতিফুল বারী, মহসীনুল করিম লেবু, সাইদুল আবেদীন ডলার, মিজানুর রহমান তালুকদার, নুরুন নবী, গোলাম কবীর ও ফজলুল হক।

লিখিত বক্তব্যে খলিলুর রহমান সজল বলেন, বাজেটে কালো টাকা সাদা করা ও পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনতে অনৈতিক কর সুবিধা এখন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। ‘ভোক্তা’ মনে করে, বারবার এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া অর্থ পাচারকে উৎসাহিত করে। তাই এ ধরনের বিধান বাতিল করে আসন্ন বাজেটে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। এ ধরনের কঠোর সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে অর্থ পাচারকে নিরুৎসাহিত করবে।

এসময় শিল্পে কর ফাঁকি রোধে কাঁচামাল ব্যবহার, পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয়ে স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটারাইজড সফটওয়্যার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করাসহ কার্যকর অডিট ব্যবস্থা চালুর দাবি জানানো হয়।

খলিলুর রহমান সজল আরও বলেন, কর্মহীনদের কর্মসংস্থান ও আয়-বৃদ্ধির উপর বিশেষ গুরুত্ব এবং উৎপাদন ও যোগান বাড়ানো, চাহিদা কমানোর উপর বিশেষ জোর দিয়ে আগামী অর্থবছরেও সরকারকে ব্যয় সাশ্রয়ী নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। উন্নয়ন সহযোগী গোষ্ঠীর চাপ সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সারের উপর চাহিদা অনুযায়ী ভর্তুকি অব্যাহত রাখতে হবে। ডলার ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে বৃদ্ধি পাওয়া সকল ওষুধ ও চিকিৎসা উপকরণের দাম সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এসময় তিনি বাজেটে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় গঠিত বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও বিস্তৃত করতে প্রয়োজনীয় বিশেষ আর্থিক বরাদ্দ রাখার জোর দাবি জানান।