আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি রোধ করে ভোক্তাবান্ধব বাজেট প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন ভলান্টারি কনজুমারস ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস সোসাইটি (ভোক্তা)। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।

ভোক্তাবান্ধব বাজেট প্রণয়নের পাশাপাশি আসন্ন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল করে কালো টাকার মালিকদের আইনের আওতায় আনা এবং ব্যাংক ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভোক্তার নির্বাহী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সজল বলেন, বাজেটে কালো টাকা সাদা করা কিংবা পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনতে দেওয়া অনৈতিক কর সুবিধা এখন দেশে প্রহসনে পরিণত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংক ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পে কর ফাঁকি রোধে কাঁচামাল ব্যবহার, পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয়ে স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটারাইজড সফটওয়্যার ব্যবহার বাধ্যতামূলক এবং কার্যকর অডিট ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানানো হয়।

একইসঙ্গে মূল্যস্ফীতির জন্য দায়ী অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য বাজারে কারসাজি ও সিন্ডিকেশনের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন কর্তৃক চিহ্নিত বড় ব্যবসায়ী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে দায়ের করা মামলাগুলোর কার্যকর তদারকি ও নিষ্পত্তির মাধ্যমে অসাধু গ্রুপগুলোর কাছে সতর্ক বার্তা পৌঁছে দিতে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি বলেন, ডলার ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে বৃদ্ধি পাওয়া সব ওষুধ ও চিকিৎসা উপকরণের নাম সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভোক্তার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর, ভাইস চেয়ারম্যান সানোয়ার হোসেন নওরোজ, পরিচালক ড. লতিফুল বারীসহ প্রমুখ।